এটি শুধুমাত্র একটি কাপড়ের টুকরো নয়… এটি একটি ইতিহাস, একটি আন্দোলন, একটি জাতির প্রতিরোধের প্রতীক!
ফিলিস্তিনি কেফিয়াহ, যা ‘শেমাগ’ নামেও পরিচিত, শত শত বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যের মানুষের পরিচয়ের অংশ।
অনেক ইতিহাসবিদদের মতে, কেফিয়াহ ব্যবহারের চর্চা শুরু হয়েছিল খ্রিস্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে ইরাকের কুফা শহরে। এবং এই শহরের নাম থেকেই স্কার্ফটির নাম হয়ে যায় “কেফিয়াহ”।
বিংশ শতাব্দীর শুরুতে, ফিলিস্তিনের কৃষক ও আরব বেদুইনরা প্রচণ্ড তাপ, মরুভূমির ধুলা, এবং শীত থেকে বাঁচার জন্য কেফিয়াহ ব্যবহার করতেন। ১৯৩০ সালের বিদ্রোহের পর, কেফিয়াহ ফিলিস্তিনিদের জাতিগত পরিচয়ের একটি অপরিহার্য এবং অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠে। ইতিহাসবিদদের মতে, এই আন্দোলন ‘নাকবা’ অর্থাৎ ‘মহা বিপর্যয়’-এর পরে আরও গতি লাভ করে। নাকবা সংঘাতের ফলে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়।
সংঘাত থেকে পালাতে গিয়ে অসংখ্য মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। এর ফলশ্রুতিতে ১৯৪৮ সালের ১৪ই মে গঠিত হয় ইসরায়েল। ‘নাকবা‘কে ফিলিস্তিনের ইতিহাসে সবচেয়ে দুঃখজনক দিন বলে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু কেফিয়াহ ১৯৬০ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিকভাবে তেমন পরিচিত হয়ে ওঠেনি।
এটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ইয়াসির আরাফাতের কারণে। তিনি নিজেই ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের মুখ হয়ে উঠেছিলেন। ১৯৭৪ সালে যখন তিনি জাতিসংঘে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের পক্ষে বক্তৃতা দেন, তখনও তিনি কেফিয়াহ পরেছিলেন! কিন্তু কেবল ইতিহাস নয়—এই স্কার্ফের প্রতিটি ডিজাইনও কিছুনা কিছু তাৎপর্য বহন করে,
- জয়তুন পাতা: ফিলিস্তিনের জয়তুন গাছের প্রতীক এবং শহরের সাথে গ্রামের সংযোগের প্রতিচ্ছবি।
- লাল রঙ: ফিলিস্তিনি জেলেদের ভূম ধ্যসাগরের সাথে সংযোগের প্রতীক।
- কালো রেখা: প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য পথের প্রতিফলন।
আপনিও কি এই ফিলিস্তিনি ঐতিহ্য, প্রতিরোধ, প্রতিবাদের অংশ হতে চান?
Jundullah Lifestyle BD আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে অরিজিনাল ফিলিস্তিনি কেফিয়াহ! অর্ডার করতে ভিজিট করুনঃ Palestine Keffiyeh
Comments (2)